Posts

Showing posts from June, 2014

arjun biswas

ARJUN BISWAS     mob- 9635300738        9563493112 E-mail- arjunbiswas1000@gmail.com  biswasarjun15@yahoo.com                 website-arjunbiswas.page.com arjunbiswas.jimdo.com
সুনয়না ছায়ামানবী মাঝরাতে ছায়ামানব রাতপ্রহরী আমি ঘুমিয়ে বন্ধু আমার একান্তে হৃদয়ে আকাশের নীল মুছে রুপালি আলো বন্ধুগল্পে স্বপ্নমাঝে প্রদীপ তুমি জালো যদি মেঘলা ক্ষণে আকাশের জলে কোনো অবলা আখিজল ঝরে, ও আমার অভিমানী কিছু অনুভুতি জীবন থেকে হারিয়ে যেয়েও ফিরে আসে যদি কখনো একাকী সময় কাটে বুঝে নিও আমার অধ্যায় নিঃসঙ্গ ইচ্ছেঘুড়ি এলোমেলো দুরে কোথাও কোন সে সুনয়না আমায় ভালোবেসে দুঃখের প্রহরে সুখের ছোয়ায় বিষন্ন হৃদয়ে এক মুহূর্ত স্পর্শে আকাশনীলা তারার মেলায় তুমি চিরন্তন ছায়ামানবী তুমি
সুনয়না ছায়ামানবী – জাকির হাসান Posted on  অক্টোবর 9, 2013   by  নীলাদ্রি             15 Votes মাঝরাতে ছায়ামানব রাতপ্রহরী আমি ঘুমিয়ে বন্ধু আমার একান্তে হৃদয়ে আকাশের নীল মুছে রুপালি আলো বন্ধুগল্পে স্বপ্নমাঝে প্রদীপ তুমি জালো যদি মেঘলা ক্ষণে আকাশের জলে কোনো অবলা আখিজল ঝরে, ও আমার অভিমানী কিছু অনুভুতি জীবন থেকে হারিয়ে যেয়েও ফিরে আসে যদি কখনো একাকী সময় কাটে বুঝে নিও আমার অধ্যায় নিঃসঙ্গ ইচ্ছেঘুড়ি এলোমেলো দুরে কোথাও কোন সে সুনয়না আমায় ভালোবেসে দুঃখের প্রহরে সুখের ছোয়ায় বিষন্ন হৃদয়ে এক মুহূর্ত স্পর্শে আকাশনীলা তারার মেলায় তুমি চিরন্তন ছায়ামানবী তুমি

তুই কি আমার দুঃখ হবি ?

                               তুই কি আমার দুঃখ হবি  তুই কি আমার দুঃখ হবি? এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল রুখো চুলে পথের ধুলো চোখের নীচে কালো ছায়া। সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি। তুই কি আমার দুঃখ হবি? তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি? মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি? তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর নির্জনতা ভেঙে দিয়ে ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি? একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা কেমন যেন বিষাদ হবি। তুই কি আমার শুন্য বুকে দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি? নরম হাতের ছোঁয়া হবি? একটুখানি কষ্ট দিবি। নিজের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি? একটুখানি কষ্ট দিবি। প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায় কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি? একটুখানি কষ্ট দিবি। তুই কি একা আমার হবি? তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?

কানামাছি ভোঁ-ভোঁ

একদিন গোপাল ও তার বন্ধু রাস্তা দিয়ে ভিন গাঁয়ে যাচ্ছিল। যেতে যেতে দেখতে পেল একটা মিষ্টির দোকানে থালায় থালায় থরে থরে মিষ্টি সাজানো আছে। মিষ্টি দেখেই দুজনের জিভে জল এসে গেল। দুজন পকেট হাতড়িয়ে দেখে মিষ্টি খাবার মত পয়সা পকেটে নেই। কিন্তু মিষ্টি না চেখে চলে যেতে তাদের পা উঠছেনা। তার দুজনেই লোভ সামলাতে পারলে না। সঙ্গে পয়সা না থাকলেও গোপাল ও গোপালের বন্ধু পোশাক পরিচ্ছদের দিক থেকে বেশ পরিপাটিই ছিল। দেখে বেশ বনেদী পয়সাওয়ালা ঘরের মনে হচ্ছিল। তখন ভর দুপুর। দোকানী ছাড়া আর কেউ ছিল না। গোপাল আর গোপালের বন্ধু আগে থেকে মতলব এটে নিয়ে দোকানে ঢুক পড়ল। দু’জনেই বেশ পেটপুরে যা ইচ্ছে সব রকম মিষ্টিই খেয়ে নিল । জাঁদরেল খদ্দের ভেবে দোকানদার একটু একটু করে কৃতার্থের হাসি হাসে। দোকানদার যখন দাম চাইলে, তখন গোপাল বললে, আমি দিচ্ছি। কত দাম হয়েছে তোমার? গোপালের বন্ধুটি বললে, না, আমি দিচ্ছি, কত দাম বল। দুজনের মধ্যে দাম দেওয়া নিয়ে দস্তরমতো রেষারেষি শুরু হয়ে গেল। গোপাল দাম দিতে যায়, তার বন্ধুটি বাধা দেয়। বন্ধুটি দাম দিতে এগোয়, গোপাল বাধা দেয়। না তুমি দেবে না, আমি দেব-এই বলে দুজনের মধ্যে কে আগে দেবে এই মনোভাব যেন। দোকা

পরকাল খাওয়া

একদিন ঘোর বর্ষার সময় গোপাল জুতো হাতে পথ চলেছে। এমন সময় পাল্কী চড়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ওই পথে যাচ্ছিলেন। তিনি গোপালকে দেখে পাল্কী থেকে নেমে এলেন। আর গোপালের জুতোর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, কি গোপাল! পরকাল যে হাতে করে চলেছো? কী ব্যাপার তোমার? গোপাল বললে, আমি তবু হাতে রেখেছি, আপনি যে খেয়ে বসে আছেন। রাজা কৃত্রিম রোষে বললেন, তুমি আমাকে জুতো খোর বলছো? জান এর শাস্তি কি? গোপাল কিছুমাত্র ভয় না পেয়ে বললে, আজ্ঞে না হুজুর না বললে কি করে জানব। তুব বলি জোয়ান মানুষ আপনি, পাল্কী ছাড়া চলতে পারেন ‍না। এতেও কি আপনি বলতে চান– আপনি নিজের পরকাল খেয়ে বসেননি বা আমি মিথ্যা বলেছি? মহারাজ এদিকটা চিন্তা করেন নি। যখন ভুল বুঝতে পারলেন তখন না হেসে পারলেন না যে গোপাল ঠিক কথাই বলেছে।

অমানুষের উপকার নৈব-নৈব-চ

ভদ্রলোক টাকার থলে সহ নৌকা করে নদীর ওপারে যাচ্ছিলেন। মাঝ নদিতে হঠাৎ করে নৌকাটা ডুবে যায়। তীরে গোপাল ও তার বন্ধুবান্ধবরা ‍দাড়িয়ে ছিল তারা অনেক কষ্টে ভদ্রলোককে তীরে টেনে তুলতে সমর্থ হয়। নাহলে স্রোতের টানে তাঁকে অক্কা পেতে হত। কিন্তু মহাজনের ভারি টাকার থলিটি বর্ষার ভরা নদীতে কোথায় তলিয়ে গেল। গোপালরা জানতে পারল না। ডাঙায় তোলার কিছু পর ভদ্রলোক জ্ঞান ফিরে পেয়ে গোপালদের গালাগাল করতে থাকেন। আমার নদি থেকে না তুলেযদি টাকার থলেটি তুলতে পারতেন তবে বুঝতুম একটা বাহাদুরী কাজ করেছেন। আপনারা সব অকর্মার ঢেকি, একদম অপদার্থ। এরূপ লোকদের দুচোখে দেখতে পারি না ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব শুনে গোপাল বলে, আপনাকে মানুষ ভেবে জান বাঁচিয়ে মহাদোষ করে ফেলেছি তাই আমরা ঢেকি। যদি আগে জানতাম আপনি অকৃতজ্ঞ জন্তু বিশেষ–যার কাছে জানের আপনি অকৃতজ্ঞ জন্তু বিশেষ–যার কাছে জানের চেয়ে টাকার থলি বড়, তাহলে আপনার ওই মাংসের ঢিবিকে আমরা স্পর্শও করতাম না। আপনি ঢোক ঢোক লোনা জল খেয়ে টাকার টুং টুং শব্দ শুনতে শুনতে ভবপারে যাওয়ার ঢং ঢং বাদ্যি এতক্ষণ শুনতেন। এই বলে সকলে সেখান থেকে রাগ করে চলে গেল।

উড়ো-খৈ গোবিন্দায় নমঃ

গোপাল একদিন এক ধামা খৈ নিয়ে ‍বাড়ি ফিরছিল, হঠাৎ দমকা ঝড় আসায় কিছু খৈ, ধামা থেকে উড়ে গেল। গোপাল তখন ওই দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো গোবিন্দায় নমঃ উড়ো খৈ গোবিন্দায় নমঃ। পাশ থেকে এক ভদ্রলোক গোপালের কান্ড কারখানা দেখে বললে, খোকা তোমার যা বুদ্ধি দেখছি, তোমাকে যদি এখানকার মাটিতে পুতে ফেলা হয়- তুমি আর এক জায়গায় মাটি ফুড়ে বেরুবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কি বল খোকা? গোপাল সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, গোবিন্দের যেমন ইচ্ছা। তাঁরই ইচ্ছায় তিনি ধামার খৈ উড়িয়ে সেবা গ্রহণ করেন–লোক প্রাণভরে ধামায় খই দেয় না বলে, তেমনই তার কৃপা হলে মাটিতে পোঁতা বীজই তো গজিয়ে মাথা ছাপিয়ে যায়।

সীতাভোগ খাওয়ার জ্বর

গোপাল আর তার প্রাণের বন্ধু নেপাল নৌকায় করে একবার চাঁদপুর যাচ্ছিল। নৌকোয় ছয়জন মাঝি ছাড়া আরও দুজন ভদ্রলোক ছিলেন। একজনের হাতে আবার বর্ধমানের নামকরা এক হাঁড়ি খুশবু ছড়াচ্ছে এমন সীতাভোগ ছিল। তিনি সঙ্গী ভদ্রলোককে বললেন, আজ বিয়ের লগ্ন, তাই সীতাভোগের দাম বেড়ি দ্বিগুন মশায়। শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি বলে চড়া দাম দিয়েই দুসের সীতাভোগ নিয়ে এলুম। আমার শ্বমুর-শাশুড়ী আবার সীতাভোগ খেতে খুব ভালবাসেন। যেবারে যাই নিয়ে যেতেই হয় বাজার দাম যাই হোক না কেন। না হলে চলে না। হাঁড়িটা ছাইয়ের ভেতর রেখে এসে তিনি বলেন, চলুন আমরা বাইরে গিয়ে বসি। ভেতরে ভীষণ গরম; বাইরে জলের হাওয়ার বেশ আরাম লাগবে। ছাইয়ের ভিতর আর গরমে বসা যাবে না। আপনার সঙ্গেও অনেকদিন পরে দেখা- আসুন প্রাণ ভরে মৌজ করে গল্প করা যাক আত্নীয় স্বজনদের। অতএব হাঁড়িটা ছাইয়ের ভেতরে রেখে ভদ্রলোক দুজন নদির হাওয়া খেতে বাইরে পাটাতনের উপর গিয়ে বসলেন। গোপাল আর নেপাল বাইরে পাটাতনের উপর বসলেও ভেতরের দুজনের সীতাভোগ ঘটিত কথোপকথন শুনেলিছল। সীতাভোগের নাম শুনেই গোপালের জিভে জল এলো। আহা কী ভুরভুরে গন্ধ। সীতাভোগ তো নয়- যেন অমৃত। এমন খুশবু ছাড়াচ্ছে বলার কথা নয়। গোপাল মনে ভাবল, কি করে

তারকা রস

 স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি, প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ। ২৯ বছর বয়সে এত কিছুর পর নায়িকা ও গায়িকা জেসিকা সিম্পসন হাঁপিয়ে উঠেছেন। তাই বলে বিয়ের ভূত মাথা থেকে নামেনি এখনো। মনে মনে পাত্রের সন্ধানে আছেন। এবার আর রুই-কাতলা নয়, অতি সাধারণ কাউকে জীবনসঙ্গী করতে চাইছেন। সেই মানুষটি একজন ডাক্তার বা পাঁচক (শেফ) হলেও আপত্তি নেই জেসিকার। মোটের ওপর বড় মানুষে ঘেন্না ধরে গেছে তাঁর। এখন এমন কাউকে চান, যিনি একাধারে তাঁকে ও তাঁর মাকেও দেখাশোনা করবেন। এহেন বক্তব্যে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—জেসিকা জামাই, নাকি ঘরজামাই চাইছেন?  টিভি অভিনেত্রী কেরি ক্যাটোনার দিনটাই মাটি হয়ে গেল। গিয়েছিলেন সাফারি পার্কে। পরমানন্দে ঘুরে ঘুরে জন্তু-জানোয়ার দেখছেন। বলা নেই কওয়া নেই হুড়মুড় করে বৃষ্টি নামল। আড়াল নিতে একটা গাছের নিচে দাঁড়ালেন। কিন্তু একি! বৃষ্টির পানিতে এমন বোঁটকা গন্ধ কেন! সন্দেহ হলো, ওপরে তাকালেন। দুটি ব্যাবুন তাঁর দিকে দাঁত কেলিয়ে আছে। নিমেষেই ব্যাপারটা ধরে ফেললেন। ভয়ে দৌড়ঝাঁপ জুড়ে দিলেন কেরি। দৌড়ে একবার এ গাছের নিচে যান তো আরেকবার ওই গাছের তলে। কিন্তু ওপর থেকে পানিপড়া থামছে না। শেষমেশ নিজের গাড়িতে এসে আশ্রয় ন

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ওষুধ

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ওষুধ হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন। কয়েক মাস পর হোজ্জা তাঁর হেকিমের কাছে গেলেন ওই ওষুধ আনার জন্য। ‘আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।’ ‘তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন’, হোজ্জা বিনীত গলায় বললেন।

কে বেশি পেটুক

কে বেশি পেটুক নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বাড়িতে তাঁর কিছু বন্ধু এসেছেন। অতিথিদের তরমুজ দিয়ে আপ্যায়ন করলেন হোজ্জা। বন্ধুদের সঙ্গে খেতে বসলেন হোজ্জা নিজেও। হোজ্জার পাশেই বসেছিলেন তাঁর এক দুষ্টু বন্ধু। তরমুজ খেয়ে খেয়ে বন্ধুটি হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসা রাখছিলেন। খাওয়া শেষে দেখা গেল, হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ। দুষ্টু বন্ধুটি অন্যদের বললেন, ‘দেখেছেন কাণ্ড? হোজ্জা কেমন পেটুক? তার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ হয়ে গেছে’! হোজ্জা হেসে বললেন, ‘আর আমার বন্ধুটির সামনে দেখছি একটা খোসাও নেই! উনি খোসাশুদ্ধ খেয়েছেন! এখন আপনারাই বলুন, কে বেশি পেটুক!’

যাত্রায় হনুমান

গোপাল মাঝে মাঝে যাত্রাভিনয় করত। গোপাল যাত্রায় হনুমান সাজে। যাত্রায় অধিকারী একদিন গোপালকে ডেকে বললে, তোমার মাইনে এবার থেকে কমিয়ে দেব তুমি মোটেই আগের মতো ‍লাফ দিতে পারছো না। তোমার লাফের জোর কই? বীর হনুমানের লাফ ভাল না হওয়ার জন্য শ্রোতারা অনেক বাজে কথা বলাবলি করছে। গোপাল ভাবলে, এত লাফিয়েও যখন অধিকারীর মত পাচ্ছিনে তখন যাত্রাদল থেকে বিদায় নেবার আগে একটা জব্বর লাফই দিয়ে যাব। অধিকারী মশাই আর কত জোর লাফ চায় দেখা যাক। একবার শেষে ‍লাফ দেব দেখি কি হয়। একদিন রাত্রে যাত্রা শুরু হল। অধিকারী আসরে বসে যাত্রাগাণ শুনছিল। গোপাল যথারীতি সেবারেও হনুমান সেজেছিল আচমকা যাত্রার আসর থেকে সে এমন এক লাফ দিলে, অধিকারীর ঘাড়ের ওপর গিয়ে যেন পড়ে পড়ে। আর একটু হলে অধিকারীর ঘাড়টাই বুঝি ভেঙে যেত। অধিকারী ককিয়ে উঠে বলল, এ তুই কি করলি গোপাল? সব সময়ইয়ার্কি করিস কেন? গোপাল নির্বিকারভাবে বললে, আপনি বললেন আমার লাফের জোর নেই। তাই তো হনুমানের লাফটা দেখিয়ে দিলুম কর্তা। এই এক লাফে সাগর টপকে রাক্ষরেসর ঘাড়ে পড়া আর কি।

হাসি আর ধরে না যে দাদার

হাসি আর ধরে না যে দাদার গোপাল গ্রামের এক মহাজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। আজ দেব, কাল দেব বলে সে টাকা আর শোধ করতে পারেনি। সেই লোক গোপালকে একদিন হাটের মধ্যে পাকড়াও করে বললে, আমার টাকাগুলো দিয়ে দাও তো গোপাল, নইলে আজ আর তোমার ছাড়ব না। তোমাকে এত লোকের সামনে অপমান করব, দেখি তুমি কোথা যাও বাছাধন। মহাজনের দ্বারা অপমানিত হয়ে গোপাল বললে, টাকা কি দেব না বলছি? আপনার টাকা আগামী কালেই দিয়ে দেবো। পরশু সকালেই আমার বাড়িতে চলে আসুন। আমি টাকা শোধ করে দেব পরশুর মধ্যে সামান্য টাকার জন্য এত অপমান করার আপার দরকার ছিল না। আমি টাকা যেমন করে পারিশোধ করার ব্যবস্থা করবই। গোপালের কথা শুনে মহাজন মনে মনে ভাবলেন গোপাল যখন এত লোকের সামনে কথা ছিল তখন পরশু দিন যেভাবেই হোক টাকা পরিশোধ করবেই। এই ভেবে পরমু মহাজন গোপালের বাড়িতে গিয়ে হাজির হল। কই হে গোপাল টাকা দেবে বলেছিলে দাও, আমি ঠিক সময় মত এসেছি। মহাজনের ডাক শুনে গোপাল বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে বললে, কাকভোরে ছুটে এসেছেন, দয়া করে বাড়ির দাওয়ায় একটু বিশ্রাম করুন- আমি যত তাড়াতাড়ি পারি আপনার টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করছি। আপনি কষ্ট করে এসেছেন প্রাণের টানে তাতেই আমি কৃ

খারাপ ছাড়া ভাল হবে না

এক ভদ্রলোক গোপালের কর্মচারীর কাছে এসে বললে, আপনাদের বাবু নাকি কানে খাটো? ধান শুনতে গান শুনে কানে হাত দিয়ে তান ধরেন? এই বলে সে দমভরে হাসতে লাগল। কর্মচারীটি তখন বললে, একটু আস্তে কনমশাই। বাবু পাশেই বসে আছে, শুনতে পারলে সর্বনাশ হবে। আপনার কাছে মোটেই ভাল তা ঠেকবে না। গায়ের ঝাল মিটিয়ে গাল দিয়ে আপনাকে পয়মাল করে ছেড়ে দেবে। ভদ্রলোক তখন চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে।

ঘোড়া নয়, গাধা দরকার

ঘোড়া নয়, গাধা দরকার গোপালের গ্রামে এক ধোপা বাস করত। সে খুবই বোকা। তার একটা ঘোড়া ছিল। কিন্তু ঘোড়ার দ্বারা কাপড় কেচে বাড়ি বাড়ি দেওয় যায়না। তার একটা গাধার দরকার। ঘোড়া বিক্রি করে সেই টাকায় গাধা ভাল রকম কিনে আনতে পারে- সে এ কথাটা ভাবতে পারে না। এমনই তরল তার মগজের ঘিলু। গোপাল অনেক কাজ সমাধা করে দিতে পারে লোকের মুখে শুনে সে গোপালকে গিয়ে ধরল, গোপাল দাদা, গোপাল দাদা, আমার এই ঘোড়ার দরকারনেই, একে গাধা বানিয়ে দাও। তুমি নাকি লোকে বলে সব পার। গোপাল হেসে বললে, ব্যাটা তোমার মত গাধাকে পিটিয়ে বরং ঘোড়া বানানো যায়, ঘোড়া পিটিয়ে গাধা তৈরী করা যায় না আদপেই। গোপালের কথা শুনে সে গজরাতে গজরাতে এই বলে বাড়ি ফিরল যে তুমি সব করতে পার কিন্তু ঘোড়া থেকে গাধা তৈরি করতে পার না- তবে তুমি কিসের সব ঘোড়ার ডিমের কাম কর। তবে তোমাকে এত লোক খাতির করে কেন? গোপাল এই কথা শুনে মুচকি মুচকি হাসতে লাগল। ধোপাও বিফল মনোরথ হয়ে ঘোড়া নিয়ে বাড়ি ফিরে গেল।

আজ যে ভীম একাদশী

গোপাল একাদশী করত। তার একাদশী করা অভ্যাস। গোপাল একাদশীর দিন সন্ধ্যেবেলায় প্রসাদ পেত লুচি, মিষ্টি- নানাবিধ ফল সহকারে। সেদিন যেন মহোৎসব লেগে যেত। গোপালকে ওভাবে একাদশীর দিন ভোজন করতে দেখে তার এক চাকর বললে, সামনের তারিখ থেকে আমিও একাদশী পালন করব বাবু। আমার একাদশী করার খুব ইচ্ছে। আপনি যদি আদেশ দেন আমি একাদশী করি। আমার খুব ইচ্ছা। গোপাল মুচকি হেসে বলল, খুবই ভাল কথা, এই তো চাই। একাদশী করা সকলের উচিৎ। দেহের উপকার, তার সাথেই মনেরও সাত্ত্বিকভাব সাধনের জন্য একাদশী সকলের করা উচিত। পরবর্তী একাদশীর তারিখে সকাল থেকে গোপালের সঙ্গে অভূক্ত রইল। কিন্তু সাঁঝ গড়িয়ে রাত্রি গভীর হয় হয়, তখনও গোপাল ভোজন করছে না দেখে চাকরটি ধৈর্যহারা হয়ে জিজ্ঞাস করলে, বাবু প্রতি একাদশীতেই তো আপনি সূর্যাস্তের ঠিক পরেই প্রচুর ভাল মন্দ ভোজন করে থাকেন, কিন্তু আজ এখনও কিছু খাচ্ছেন না কেন? গোপাল মুচকি হেসে বলল, ওরে ব্যাটা আজ যে যেমন তেমন একাদশী নয়, সাক্ষাৎ ভীম একাদশী- আজ একদম নিরম্বু উপবাস। আজকে জলও খেতে নাই । সেজন্য আজ আর কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করিনি। গোপালের চাকর হায় হায় করতে লাগল। এমন হবে জানলে কি সে একাদশীর নাম মুখে আনতো। পেট য

hallo

hallo     I am arjun biswas . mob: 8513879338 E-mail-biswasarjun15@yahoo.com web:- www.arjunbiswas.page.tl

ব্যাগ গার্ডেনিং

Image
ব্যাগ গার্ডেনিং সবজী চাষ একটি ঋতুভিত্তিক বা মৌসুম নির্ভর কর্মকান্ড ,  তবে উন্নত জাতের সবজি যা কম বেশী সারা বছর উৎপাদন করা যায়। সবজি চাষ সম্পূর্নভাবে একটি পারিবারিক শ্রম নির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। এ কর্মকান্ড সংসারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে সময় দেয়ার সুযোগ রয়েছে। পুষ্টি সমস্যা একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে ,  খাবার মেনুতে বৈচিত্র আনার জন্য ব্যাগ গার্ডেনিং গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। অনেক সময় বাজারে সবজীর দাম সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায় ফলশ্রুতিতে দরিদ্র এবং অসচ্ছল পরিবারগুলো খাবার মেনু কমিয়ে তাদের বাজেটের সমন্বয় করে থাকে নিজস্ব পরিসরে চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী পুষ্টি সমৃদ্ধ শাক-সবজী উৎপাদন করতে পারলে অর্থ এবং সময় সাশ্রযের পাশাপাশি পুষ্টি সমস্যা ও সমাধান সম্ভব। যেহেতু ব্যাগটি স্থানান্তর যোগ্য সেহেতু চর এবং উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। জনসাধারন যাদের জীবন ও জীবিকা অস্থিতিশীল সেক্ষেত্রে স্থায়ীত্বশীলতা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উদ্দেশ্য : অল্প জায়গাতে ব্যাগে অধিক শাকসবজী উৎপাদনের মাধ্যমে সময় এবং স্থানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চি
Image
ব্যাগ গার্ডেনিং সবজী চাষ একটি ঋতুভিত্তিক বা মৌসুম নির্ভর কর্মকান্ড ,  তবে উন্নত জাতের সবজি যা কম বেশী সারা বছর উৎপাদন করা যায়। সবজি চাষ সম্পূর্নভাবে একটি পারিবারিক শ্রম নির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। এ কর্মকান্ড সংসারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে সময় দেয়ার সুযোগ রয়েছে। পুষ্টি সমস্যা একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে ,  খাবার মেনুতে বৈচিত্র আনার জন্য ব্যাগ গার্ডেনিং গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। অনেক সময় বাজারে সবজীর দাম সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায় ফলশ্রুতিতে দরিদ্র এবং অসচ্ছল পরিবারগুলো খাবার মেনু কমিয়ে তাদের বাজেটের সমন্বয় করে থাকে নিজস্ব পরিসরে চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী পুষ্টি সমৃদ্ধ শাক-সবজী উৎপাদন করতে পারলে অর্থ এবং সময় সাশ্রযের পাশাপাশি পুষ্টি সমস্যা ও সমাধান সম্ভব। যেহেতু ব্যাগটি স্থানান্তর যোগ্য সেহেতু চর এবং উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। জনসাধারন যাদের জীবন ও জীবিকা অস্থিতিশীল সেক্ষেত্রে স্থায়ীত্বশীলতা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উদ্দেশ্য : অল্প জায়গাতে ব্যাগে অধিক শাকসবজী উৎপাদনের মাধ্যমে সময় এবং স্থানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চি

সাভারে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন

Image
সাভারে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এলাকার তরুণ-যুবকসহ সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। মাত্র হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে দু’তিন জোড়া কবুতর পালন শুরু করলেও অল্প দিনের ব্যবধানে অনেকেই গড়ে তুলেছেন লাখ টাকার খামার। বেকারত্ব ঘুচাতে অনেকেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবুতরের খামার স্থাপন করে স্বাবলম্বী। ম্যাগপাই, বুডারবল, কৃষ্ণা, লক্ষ্যা, জগভিন, নান, বাগদাদী, রেইন, লালসিরাজী, সিলভার সিরাজী, জেকভিন, সাটিং, গ্রীবাজ, হোমাসহ নানা রং আর জাতের মূল্যবান কবুতর কেনা-বেচায় সপ্তাহে দু’দিন সাভার বাজারে বসে কবুতরের হাট। হাটে কবুতর খামারীদের বেশ সমাগম হয়। আর লেনদেন হয় বেশ কয়েক লাখ টাকার। সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জয়নাবাড়ী মহল্লায় স্বচ্ছল ব্যক্তি জয়নাল আবেদীন। মত্স্য চাষ ও নার্সারির পাশাপাশি তিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পালন করছেন কবুতর। বাড়ীর চার তলার ছাদে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তিনি গড়ে তুলেছেন কবুতর খামার। তার খামারে রয়েছে ম্যাগপাই, বুডারবল, কৃষ্ণা, লক্ষ্যা, জগভিন, নান, বাগদাদী, রেইন, লালসিরাজী, সিলভার সিরাজী, জেকভিন, স

ভিডিও এডিটিং এ ক্যারিয়ার

সাইফুল ইসলাম শিবলু : ভিডিও এডিটিং এমন একটি পেশা, যেখানে সবসময়ই সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আপগ্রেড করে নিতে পারলে আপনিও এ পেশায় জড়িয়ে থাকতে পারবেন সবসময়। এ পেশায় ক্যারিয়ারে খ্যাতি, সুনাম, পরিচিতির পাশাপাশি রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি। বিশ¡ব্যাপীতো বটেই, বাংলাদেশেই রয়েছে এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বিশাল ক্ষেত্র। আজকে একুশ শতকে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়া কতটা এগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। ১৫ বছর আগেও মানুষ ভাবেনি ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ পর্যায়ে চলে আসবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বড় ক্ষেত্র হলো টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। ক্যারিয়ারের বড় ক্ষেত্রও এটি। ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার দারুন চ্যানেলে কাজ এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয়। দেশে এখন একাধিক সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে। প্রতিদিন টিভি চ্যানেলগুলোতে সংবাদের পাশাপাশি অসংখ্য অনুষ্ঠান, নাটক, ম্যাগাজিন প্রচারিত হয়। এসব অনুষ্ঠান টিভি চ্যানেল ছাড়াও বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থাও নির্মাণ করে থাকে। এছাড়া টেলিভিশনে প্রচারিত বিজ্ঞাপনসমূহ নির্মাণ করে থাকে বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। দক্ষ ভিডিও এডিটররা উচ্চ বেত

লবণের দ্রবণে সবুজ ফল সংরক্ষণ

শতকরা ১০ ভাগ লবণের দ্রবণে ০.৩% আ্যাাসেটিক এসিড ও ০.০৫% কেএমএস মিশিয়ে আমড়া, জলপাইসহ সবুজ ফল ৬ থেকে ৮ মাস ভাল অবস্থায় সংরক্ষণ করা যায় এবং পরে আচার ও চাটনী তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। উপকরণসমূহ:সবুজ ফল ৮০০ গ্রাম। লবণ ১০০ গ্রাম। আ্যাাসেটিক এসিড ৬ মিলি। পানি ১ কেজি। কেএমএস ১ গ্রাম। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও দ্রব্যাদি:ব্যালেন্স, বটি/ ছুরি, সসপেন,  প্লাস্টিকের জার/ড্রাম, স্টিলের ডিস। সংরক্ষণের পদ্ধতি:ক. পরিপুষ্ট কাঁচা ফল পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে; খ. ফলের আকার অনুযায়ী দুই বা চার টুকরায় কেটে বা পুরোটাই এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায়; গ. ফলগুলো ব্লাঞ্চিং অর্থাত্ ৮০ থেকে ৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২ থেকে ৩ মিনিট সিদ্ধ করে তারপর ঠাণ্ডা পানিতে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে; ঘ. শতকরা ১০ ভাগ লবণের দ্রবণ তৈরি করে ১০ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে; ঙ. এরপর ওজন করে এসিড ও কেএমএস যোগ করতে হবে; চ. প্লাস্টিক ড্রাম/কনটেইনার ভালভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে এবং পরে গরম (৮০ থেকে ৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার পানি) পানিতে জীবাণুমুক্ত করতে হবে; ছ. ফল/ফলের টুকরো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত ড্রাম বা

অটোমোবাইলে ক্যারিয়ার

অটোমোবাইলে ক্যারিয়ার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সূত্রানুসারে ঢাকা শহরে মোটরগাড়ির সংখ্যা সাত লাখ। আর সারা দেশে গাড়ি আছে ১৭ লাখেরও বেশি। এই লাখ লাখ গাড়ির তুলনায় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা অনেক কম। এ রকম পরিস্থিতিতে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় এসে আপনিও নিজের ক্যারিয়ারকে উজ্জ্বল করতে পারেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ  অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার একটি গাড়ির পুরো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। গাড়ির কোথায় কী সমস্যা, কোন সমস্যা কিভাবে কাটাতে হবে, কোথায় কোন যন্ত্রাংশ পাল্টাতে হবে বা মেরামত করতে হবে, কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ি সচল করা হবে, কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে সহজেই সফলতা মিলবে ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা সমস্যার সমাধান করেন। তাঁদের নির্দেশ অনুসরণ করে মেকানিকরা গাড়ি মেরামত করেন। অনেক সময় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারকেও ইঞ্জিন মেরামতে হাত লাগাতে হয়। এ প্রসঙ্গে শ্যামলী আইডিয়াল টেকনিক্যাল কলেজের অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. সবুজ বলেন, 'একজন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারকে গাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের

বায়োগ্যাস প্লান্টের জন্য নতুন উদ্ভাবন ‘সেন্টার পাইপ’

Image
বায়োগ্যাস প্লান্টের জন্য নতুন উদ্ভাবন ‘সেন্টার পাইপ’ দেশে বায়োগ্যাস পদ্ধতি চালু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। এবার বায়োগ্যাস প্লান্টের ব্যবহার উপযোগী সেন্টার পাইপ উদ্ভাবন করল বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। এতে বছরে সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জামাল ও উপপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান সুজন বিস্তারিত জানিয়েছেন আমাদের  জ্বালানি খরচ কমাতে রান্নার কাজে বায়োগ্যাস ব্যবহার লাভজনক। তবে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের পর এর পরিচর্যার ক্ষেত্রেও নিতে হয় কিছু পদক্ষেপ। বায়োগ্যাসের সেন্টার বা মাঝের যে পাইপটি দিয়ে রান্নার চুলায় গ্যাস সরবরাহ হয় ,  তা প্লান্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সম্প্রতি বায়োগ্যাস প্লান্টের সেন্টার পাইপ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অঙ্গ সংস্থা জ্বালানি গবেষণা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (আইএফআরডি)। উদ্ভাবনটি করা হয়েছে  ‘ কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ ’   প্রকল্পের আওতায়। এ প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন মোহাম্মদ শাহ জামাল ও উপপরিচালক ছিলেন এস এম আসাদুজ্জামান সুজন। উদ্ভাবনের উদ্